কালীপুজোর পরদিন অফিস যাওয়াটাই অভিশাপ। পুরো কলকাতা ঝিম মেরে আছে। শহরটা কাল রাতের ঘোর এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অতিকষ্টে কোঁত পাড়তে পাড়তে অফিসে পৌঁছে বিরস বদনে টেবিলে বসে আছি, চোখে ঘুম জড়াচ্ছে, সামনে ল্যাপটপ এর স্ক্রীন ঝাপসা, কাজে মন নেই, দেহ বলছে 'ক্লান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভু'।
দুপুর গড়ালে পেটে ক্ষিদের আগুন, আর প্রস্তাবটা সেই সময় এলো। সিদ্ধেশ্বরী আশ্রমে গেলে হয় না? মুহুর্তেই ক্লান্তি ঝেড়ে আমি রেডি। চার বাঙ্গালী ট্যাক্সি ধরে দে গোল্লাছুট। কাজ থাকুক আমি আসি...
পাইস হোটেল রসিকদের জন্য সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম তীর্থস্থানই বটে। নামটা সার্থক। সরু সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠতেই সেই পীঠস্থান। ডানদিকে ঘরের ভিতর ঘর, উপরে কড়িকাঠের সিলিঙে ঢিমেতালে ঘুরছে আদ্দিকালের ফ্যান। কাঠের বেঞ্চি আর মার্বেল টপের কাঠের টেবিল। পাইস হোটেলের ঐতিহ্য মেনে ঢোকার মুখেই ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে পদ এবং মূল্য তালিকা। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই। মাথায় তারিখটি অবশ্য বাংলা মাসের হিসাবে লেখা। এছাড়া বোর্ডের মাথায় গনেশ বন্দনা।
একটু আগে পৌছবার দরুন বসার জায়গা মিলল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। এখানে একটু দুপুর গড়ালেই ভিড় বাড়ে, জায়গা পাওয়া দুস্কর হয়..এবং পেটে খিদে নিয়ে শুরু হয় প্রতীক্ষার প্রহর গোনা।
গুছিয়ে টেবিল দখন করে বসতেই কলাপাতা বসানো স্টিলের থালাতে ভাত এবং মাটির ভাঁড়ে জল হাজির। তারপরে শুধুই এক স্বপ্নিল সময়ের মধ্যে দিয়ে ভেসে যাওয়া। ঝপ ঝপ হাজির ধোঁয়া ওঠা সরু চালের ভাত, নারকেল দেওয়া ঘন এক বাটি ডাল, ঝুরি আলু ভাজা, আলু পটল পোস্তর তরকারী। এ হলো গিয়ে স্ট্যান্ডার্ড স্টার্টার। এর পরে জমিয়ে অর্ডার করা হলো, পাবদা মাছের সর্ষে বাটা, পার্শে মাছের ঝাল, আর বড় গলদা চিংড়ির মালাইকারি। সবকিছুই আকারে অতি বৃহৎ এবং অতি সুস্বাদু। পাবদা মাছের মাথা এবং ল্যাজ দুটি কোয়ার্টার প্লেটের গন্ডি ছাড়িয়ে আরো বহুদূর বিস্তৃত। পার্শে এবং চিংড়ির সাইজও শ্রদ্ধার উদ্রেক করে। মৎস্য বাবাজিরা সসন্মানে উদরস্থ হবার পরেই খোজ করা হলো পাঁঠার। দু কোয়ার্টার পাঁঠার মাংস বলামাত্রই হাজির। অতীব সুপক্ক ও সুসিদ্ধ সে মাংস স্বাদে গন্ধে অনির্বচনীয়। ঝোলটি লেবু চিপে ভাতে মেখে খেলেই মনে হয় "স্বর্গ যদি কোথাও থাকে তা এখানে.. তা এখানে।.......
রসিকজনেরা যদি যেতে চান কোনো এক মধ্যাহ্নে,
পৌছে যান জানবাজার,
১৯ নং রানী রাসমণি রোড, কলকাতা ৭০০ ০৮৭। প্রতিষ্ঠানটি ১৯২৫ সন থেকে সুস্বাদু এবং সর্বপরি হালকা এবং সহজপাচ্য খাওয়া পরিবেশন করে আসছে।
যদি পাইস হোটেল ঘরানা ধাতে সয়, খেয়ে প্রভূত আনন্দ পাবেন। গুছিয়ে খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুরটা তুললেই বুঝবেন........
বসন্ত এসে গেছে
.......................
হোটেল সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম
১৯, রানী রাসমনী রোড
জানবাজার, কোলকাতা - ৭০০ ০৮৭
Superb! Pl post this in Facebook too.
ReplyDeleteWanderlust: Pice Hotels Of Kolkata - Hotel Siddheswari Ashram (হোটেল সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম) >>>>> Download Now
Delete>>>>> Download Full
Wanderlust: Pice Hotels Of Kolkata - Hotel Siddheswari Ashram (হোটেল সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম) >>>>> Download LINK
>>>>> Download Now
Wanderlust: Pice Hotels Of Kolkata - Hotel Siddheswari Ashram (হোটেল সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম) >>>>> Download Full
>>>>> Download LINK m4
Sagarda apnar sathe berobo.
ReplyDeleteCFC te achi ami.
Sagarda apnar sathe berobo.
ReplyDeleteCFC te achi ami.
Darun darun
ReplyDeleteদারুন খাবার এখানে
ReplyDelete"দখন" কথা টা বোধহয় #"দখল" হবে ৷ ওটা ঠিক করে দিন ৷
ReplyDeleteআমি কালই যাব।
ReplyDeleteAha.. apnar lekha pore anekta "Ghraneno ardha bhojonam" type experience hoy.. khub bhalo.. aro erakam anek suluk sondhan chai.. :-)
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteKhub choto takhon, Tamluk e thaktam amra, year 1978.Babar sathe Kolkatay eschilam, Babar office chilo Free School St, ekhon jeta Khaddo Bhavan,Kono vabe baba hat chere Jay and Ami harea jai,2hrs pore baba ese amake ei hotel e khuje pay,ekjon oparichto vadralok amake rastay pe ekhane lanch korachilen,tarpor theke ekhon obdhi onekbar khechi, Test ekhono ekrakam
ReplyDeleteবাঃ এটাতো বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
DeleteThis is superb and informative post. Thanks for sharing this awesome post.
ReplyDeletehttps://www.bharattaxi.com/kolkata
Wanderlust: Pice Hotels Of Kolkata - Hotel Siddheswari Ashram (হোটেল সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম) >>>>> Download Now
ReplyDelete>>>>> Download Full
Wanderlust: Pice Hotels Of Kolkata - Hotel Siddheswari Ashram (হোটেল সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম) >>>>> Download LINK
>>>>> Download Now
Wanderlust: Pice Hotels Of Kolkata - Hotel Siddheswari Ashram (হোটেল সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম) >>>>> Download Full
>>>>> Download LINK