Work by artisans of Dariyapur Burdwan |
বেশ কিছুদিন আগে এক বন্ধুর বাড়ীর ড্রয়িংরুমে একটি ডোকরার দুর্গামুর্তি
দেখেছিলাম। মানে অসুর, সিংহ, লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক গনেশ সব
নিয়ে। অসাধারণ ডিটেইলিং এ কাজ। আমার খুব ভালো লেগেছিল। আমার ধারণা হয়েছিল হয়ত
ছত্তিসগড়ের বস্তার জেলা থেকে আনানো কারণ ডোকরা শিল্পের আঁতুড়ঘর হিসাবে বস্তারকেই
ধরা হয়, আর প্রচুর ভালো
শিল্পীও ওখানে আছেন। কিন্তু সেই বন্ধুর থেকে জেনেছিলাম ওর ডোকরার কাজটি
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের কোনো শিল্পীর হাতে গড়া এবং সেখানে রীতিমতো ডোকরাশিল্পীদের
গ্রাম আছে যেখানে এমন প্রচুর ভালো কাজ হয়।
সেই থেকেই ইচ্ছেটা জেগেছিল গ্রামটা ঘুরে আসার। এর পরে জেনেছি গ্রামের নাম
দরিয়াপুর, গুসকরা থেকে খুবই
কাছে।
সুযোগটা এল অক্টোবর মাসে, বাংলানাটক ডট কম
এর সৌজন্যে। বাংলানাটক www.banglanatak.com একটি এন জি ও এবং এরা পশ্চিমবঙ্গের লোকসংস্কৃতি
এবং লোকশিল্প নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। প্রান্তিক এবং লোকশিল্পীদের
সহযোগিতা, পরিচিতি বাড়ানো
এবং তাঁদের স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে এনারা কাজ করেন। এই কাজেরই অঙ্গ হিসাবে
পশ্চিমবঙ্গের অনেকগুলি এমন লোকশিল্পীদের গ্রাম এনারা শনাক্ত করেছেন যেগুলি প্রকৃত
অর্থেই অনন্য এবং এই জায়গাগুলিতে বাংলার নিজস্ব হস্তশিল্প, গান, বাজনা ইত্যাদি এখনো বেঁচে আছে। এর মধ্যে পুরুলিয়ায় ছৌ মুখোশের গ্রাম চড়িদা,
বাঁকুড়ার নানুরের কাঁথা
শিল্প, বর্ধমানের
নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল, পাঁচমুড়ার
টেরাকোটার কাজ, পশ্চিম
মেদিনীপুরের পিংলা গ্রামের পটচিত্র, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমান্ডিতে কাঠের মুখোশের কাজ যেমন আছে তেমনিই আছে নদীয়া
জেলার গোরভাঙ্গায় লালন ফকিরের ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত সুফি ফকিরদের গ্রাম। সুর
যেখানে বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এসব জায়গায় বছরের বিভিন্ন সময় ধরে বাংলানাটকের উদ্যোগে
স্থানীয় শিল্পীগোষ্ঠিরা আয়োজন করেন হস্তশিল্পমেলার, তাঁদের নিজেদের গ্রামেই। উদ্দেশ্য যাতে লোকজন
জানতে পারেন, আসতে এবং দেখতে
পারেন আর বিক্রীবাটাও হয়। উৎসাহী পর্যটকরা গ্রামে এসে নিজের চোখে দেখতে পারেন
কিভাবে শিল্পীরা সৃষ্টি করছেন এবং তৈরীর পদ্ধতির খুঁটিনাটি। চাইলে হাতেনাতে শেখার
জন্য ছোটছোট ওয়ার্কশপও করা হয়। এছাড়াও কোলকাতায় এবং বিভিন্ন জেলাতে স্থানীয়
লোকশিল্পীদের নিয়ে লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এর মধ্যে, বাউলগান, ভাওয়াইয়া, ঝুমুর গান, ফকিরি গান, ছৌনৃত্য, রায়বেঁশে নৃত্য সবই থাকে, আবার বিভিন্ন দেশের লোকশিল্পীদের এনে যৌথ
অনুষ্ঠান, ওয়ার্কশপ
ইত্যাদির মাধ্যমে একটা সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের জায়গাও এঁরা তৈরী করেন।
যাই হোক এত কথা বললাম এই জন্য যে এই রকম উদ্যোগের খুব প্রয়োজন আছে আজকের দিনে।
লোকায়ত সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ একান্ত দরকার, নইলে স্রেফ অর্থনৈতিক কারণেই এই সব শিল্পীরা
এবং সঙ্গে তাঁদের নিজস্ব শিল্পকলা ক্রমশঃ হারিয়ে যাবে। আশার কথা বর্তমান সরকার
লোকশিল্পীদের সহায়তা, পরিচিতির জন্য
অনেক কিছুই করছেন। এছাড়া বেসরকারী ক্ষেত্র থেকেও সাহায্য এলে শিল্প এবং শিল্পী
দুইই বাঁচে।
এবছর দরিয়াপুরে মেলার আয়োজন হয়েছিল ১৩-১৫ অক্টোবর। এটা এঁদের তৃতীয় বর্ষ। আমার
হাতে সময় ছিল মাত্র একদিন সেজন্য শনিবারে ডে ট্রিপে গাড়ী নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
গুসকরা স্টেশন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে দরিয়াপুর গ্রাম, একেবারে রাস্তার ওপরেই। মেলা উপলক্ষ্যে তোরণ
করা হয়েছে, চোখ এড়িয়ে যাওয়ার
উপায় নেই। ভিতরে ঢুকেই পাকা দোতলা বাড়ী, সেটা ‘দরিয়াপুর ডোকরা
আর্টিজানস কো-অপারেটিভ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাই্টি লিমিটেড' এর অফিস। নিচে ছোট হলঘরে কিছু বাছাইকরা ডোকরার
কাজ সাজানো আছে। মুগ্ধ করার মতো শিল্পশৈলী। এখানকার অনেক শিল্পীই উৎকর্ষের
স্বীস্কৃতি হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন।
The entrance of Dariyapur village during the fair |
বাড়ীর পাশেই মঞ্চ করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, মূল পর্ব সন্ধ্যেবেলায়, সুতরাং আমার দেখা হবে না। সেখানে বাউল, ভাওয়াইয়া, ঝুমুর, টুসু গান সবই হবে। পাশে দেখি পুতুল নাচের যোগাড় চলছে। ছোট্ট একটা কাপড়ের স্টেজ,
হাতে আঁকা ব্যাকড্রপ আর
পিছনে শিল্পী রঙিন জামাকাপড় পরা পুতুলদের নাচের সুতো ঠিক করছেন। চতুর্দিকে কচিকাঁচাদের
ভিড়। এর মধ্যেই এক লোকশিল্পী হারমোনিয়াম আর খোল সহ একটা কীর্তন আঙ্গিকের গান
ধরলেন।আসর মুহুর্তে জমজমাট।
The preparation for the 'Putul Nach' performance |
ভিড় মোটামুটি। স্থানীয় মানুষ ছাড়াও কোলকাতা থেকে আসা উৎসাহী মানুষও প্রচুর।
ক্যামেরাধারীরাও আছেন ভালো ছবির আশায়।
পিছনদিকেই আসল গ্রাম। ছোট ছোট মাটীর ঘর শিল্পীদের, পাকা বাড়ীও আছে, তারমধ্যে দিয়ে পায়ে চলা পথ এঁকেবেঁকে গিয়েছে
গ্রামের মধ্যে দিয়ে। ঘরকন্না, রান্নাবান্নার
পরিচিত খন্ডদৃশ্যের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সমান তালে চলছে ডোকরার কাজ। পুরুষ মহিলা
নির্বিষেশে হাত লাগিয়েছেন। কোথাও জ্বলছে ভাঁটি, ধোঁয়া পাকিয়ে উঠছে, সারি সারি মাটির ছাঁচ শুকোচ্ছে রোদে, কোথাও তৈরী ডোকরার মুর্তি মেশিন পালিশ হচ্ছে,
শিল্পীরা খুদে ছেনি দিয়ে
অদ্ভুত দক্ষতায় ছাঁচ ভাঙ্গা ছোট ছোট ধাতুর মুর্তির গায়ের নকশা ঠিক করছেন। দেবদেবীর
মুর্তির সঙ্গে টিপিকাল ডোকরা স্টাইলে করা জন্তুজানোয়ার, প্রদীপদানী, পেপারওয়েট, আদিবাসী মানুষের অবয়ব সবই আছে।
The village of Dariyapur. Note the paintings on the wall |
Life at the village |
The clay molds being dried in the sun |
প্রত্যেক শিল্পীর বাড়ির সামনের আঙিনাই এখন একএকটা আর্ট গ্যালারী। প্লাস্টিকের
টেবিলে থরে থরে সাজান নিজেদের শিল্পকর্ম, বিক্রির জন্য। একই সঙ্গে কাজও চলছে। মহিলারা বাচ্চা সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে
সমান্ তালে দরাদরি বিক্রীবাটা সামলাচ্ছেন আর উৎসাহী মানুষের প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে
যাচ্ছেন।
The Dokra artifacts on display at an artist's house |
The Artisans put up tables in front of their homes to display their work |
The three day fair gives the artisans a scope to display and sell their art right from their home |
Balancing life between managing household chores, bring up kids and creating fantastic art requiring lot of love and hard work is no easy task but these women manage it with aplomb |
The father and son finds some fun time while their pet goat takes shelter under the table |
This little girl keeps vigil while her parents are away |
A girl looks at the curious visitors at her home |
An amazing variety of idols and other artifacts on sale |
এই গ্রামের শিল্পীদের বেশীরভাগের পদবীই হল কর্মকার। এঁরা বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে ডোকরার কাজ করে আসছেন।এই কর্মকাররা হলেন জাত শিল্পী। পশ্চিমবঙ্গের বহু বিখ্যাত টেরাকোটার মন্দিরের প্যানেলের অতিসুক্ষ কারুকাজ এই কর্মকার সম্প্র্দায়ের হাতেই গড়া। আর ডোকরা হল ভারতবর্ষের অন্যতম পুরোন আদিবাসী শিল্পকলা। মনে করা হয় মোমের ছাঁচ থেকে ধাতুর মুর্তি তৈরীর এই শিল্প প্রায় চার হাজার বছরের পুরোন। এমনকি মহেঞ্জোদড়ো সভ্যতাতেও এই ধরনের কাজের উদাহরণ পাওয়া গেছে। আগেই বলেছি ছত্তিসগড়ের জঙ্গলাকীর্ণ বস্তার জেলাই হল ডোকরা শিল্পীদের আদিভুমি। এটাও মনে করা হয়, ডোকরা কথাটা এসেছে এই অঞ্চলের ডোকরা নামের ভুমিজ জনগোষ্ঠি থেকে যাঁরা এই শিল্পকলার চর্চা করতেন বহুযুগ ধরে। এখনও জগদলপুর শহরের কাছেই কোন্ডাগাঁও হল ডোকরা শিল্পের ভারতবিখ্যাত কেন্দ্র। বহু গুনী শিল্পী এখানে আছেন যাঁদের কাজ দেশে বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। এখান থেকেই হয়ত শিল্পীরা ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়েছিলেন ভারতে্র বিভিন্ন জায়গায়। এখন ডোকরা শিল্পীদের দেখা পাওয়া যায় ঊড়িষ্যায়, ঝাড়খন্ডে, অন্ধ্রপ্রদেশে এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গে। যদিও সঠিক কোন তথ্য আমি এখনো খুঁজে পাই নি তবে অনুমান করা যেতেই পারে যে সেই প্রাচীন জনজাতির একটা অংশ হয়ত কোনো সুদুর অতীতে এই অঞ্চলে এসে পড়েছিলেন এবং তাঁদের হাত ধরেই স্থানীয় মানুষেরা এই বিদ্যা রপ্ত করেন এবং ক্রমশ: এই গ্রামে তার শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন শিল্পকলা এইভাবেই তার ক্রম:বিস্তারের পথ খুঁজে নিয়েছে, এখানেও তার ব্যাত্যয় হয়নি।
ডোকরা শিল্প সৃষ্টির পদ্ধতিঃ
১। মাটীর মন্ড দিয়ে প্রথমে ঈপ্সিত মুর্তিটি তৈরি করা হয়।
২। এরপর মাটীর সেই মুর্তিটির ছাঁচের উপর মোম এবং ধুনোর তৈরী একটি মিশ্রণের
প্রলেপ দেওয়া হয়।
৩। এরপর মুর্তির বাইরের আবরণের উপর মোমের সুতো দিয়ে সুক্ষ নকশা ফুটিয়ে তোলা
হয়।
৪। এরপর পাতলা মাটীর মন্ড দিয়ে ছাঁচটি পুরোটা ভরাট করা হয়। তারপর তাতে পিতল
গলে গিয়ে ভিতরে ঢোকার একটা পথ করা হয়। ওই পথ দিয়ে গলিত পিতল ছাঁচের মধ্যে ঢুকে
যায়।
৫। এরপর ছাঁচে ঢালাই মুর্তিটিকে আগুনে পোড়াতে হয়। পথটিকে ভরাট করে দিতে হয়
পিতলের টুকরো দিয়ে। আগুনের আঁচে পিতল গলে মুর্তিটির সঙ্গে মিশে যায়। গরম মাটি দিয়ে
ফুটোটিকে বন্ধ করতে হয়।
৬। ঢালাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর ছেনি ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাটিগুলোকে বের করে
দিতে হয়।মুর্তির গায়ে ধাতুর বাড়তি অংশগুলিকে কেটে ফেলে দিতে হয়। এরপর মেশিন দিয়ে
মুর্তিটিকে মসৃণ করে নিতে হয়। শেষে থাকে পালিশের কাজ।
The making of Dokra. The clay molds being made and dried |
The making of Dokra. The artifacts being extracted from the mold |
The making of Dokra, The molds are being put in the wood fired oven |
Once the artifacts are taken out of the clay mold some imperfections are corrected with chisel and hammer |
The making of Dokra - Final touch being given on smaller artifacts |
An artisan is busy machine polishing his creations. |
Artifacts being machine polished to perfection |
ওপরের বর্ণনাটি পড়ে নিশ্চই বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা বেশ পরিশ্রমসাধ্য ও
সময়সাপেক্ষ। সামনে দাঁড়িয়ে কাজটা যদি দেখেন তাহলে ধারণাটা আরও পরিষ্কার হবে।
দুঃখের ব্যাপার হল বিভিন্ন মহলের অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও সব শিল্পীরা তাঁদের
শিল্পকর্মের যোগ্য দাম পান না। গ্রাম ঘুরে শিল্পীদের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য
সম্বন্ধে আমার বিশেষ উচ্চ ধারণা হয়নি, বরং অনেক পরিবার অসুবিধাতেই আছেন বলে মনে হল। এরপর আমি দেখলাম যাঁরা বাইরে
থেকে গেছেন, কিছু কিছু কিনছেন,
কিন্তু সেখানে তুমুল
দরদাম চলছে। এই ব্যাপারটাও আমার ব্যাক্তিগতভবে পছন্দ হয়নি। আমার অভিজ্ঞতায় বলছে
শিল্পীরা যা দাম রেখেছেন সেটা খুব যে একটা অযৌক্তিক তা বলা যায় না। সেটাকে যদি
জোরজবরদস্তি টেনে না নামানো হয় তাহলে ভালো হয়। দয়া দাক্ষিণ্যের ব্যাপার নয়,
কিন্তু শিল্পের মর্যাদা
আর শিল্পীর সন্মানটা দিয়ে ন্যায্য দাম যদি দেওয়া হয় আমার মনে হয়না সবার খুব একটা
অসুবিধে হবে।
An artisan gets his work ready for display |
আমি মেলার সময় গেলেও এই গ্রামের দ্বার সারা বছরই অতিথিদের জন্য উন্মুক্ত।
একদিনের ছোট্ট ট্রিপে ঘুরে আসা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হতে পারে। চাইলে রাতে থাকার
ব্যাবস্থাও হয়ে যাবে। আতিশয্য হয়ত পাবেন না, অতি সাধারণ বন্দোবস্ত, কিন্তু আতিথেয়তার, আন্তরিকতার কোন খামতিও থাকবে না।
যাবার পথনির্দেশ আর থাকার বন্দোবস্তের ঠিকানা নিচে রইল।
ট্রেনে গেলে হাওড়া থেকে গুসকরা স্টেশনে নামতে হবে। স্টেশন থেকে দরিয়াপুর মাত্র
চার কিলোমিটার। টোটো পাবেন, স্টেশন চত্বর
থেকে ভাড়ার গাড়িও।
গাড়ীতে এলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বর্ধমান। বর্ধমান পেরনোর ঠিক পরেই ডান
দিকে ১০৮ শিব মন্দিরের রাস্তা ধরতে হবে। এই রাস্তাই তালিত রেল গেট পেরিয়ে সোজা
গেছে গুসকরা। গুসকরার মোড়ে ত্রিকোণ ট্রাফিক আইল্যান্ড পৌঁছে আবার বাঁ দিকে ঘুরতে
হবে। এই রাস্তাটা সোজা গেছে গুসকরা স্টেশান, সেখান থেকে রেল্ গেট পেরিয়ে বাঁদিকে সোজা
রাস্তা গেছে দরিয়াপুর। অসুবিধে হয়ে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞাসা করে নেবেন। কোলকাতা
থেকে পৌঁছতে তিন সাড়ে তিন ঘ্ন্টা লাগবে।
থাকার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন নিচের নম্বরগুলিতে।
সুভাষ মন্ডল – ৯৭৩৫২২৮০৮৬
শুভ কর্মকার – ৯১৫৩২৫৫৯৫৫
অশোক কর্মকার – ৯৬৩৫৬৭৩০৮২
এই লেখাটা যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অনুরোধ করব শেয়ার করার জন্য। আমার ইচ্ছা যত
বেশী মানুষ এর সম্বন্ধে জানতে পারবেন ততই এই শিল্পীদের জন্য মঙ্গল। দেশের প্রাচীন
এক শিল্পকলাকে বাঁচিয়ে রাখার কিছুটা দায় তো আমাদেরও থাকে।
Here is an English version for readers who cannot read Bengali:
Next Weekend Drive down to Dariyapur –The Dokra Art village of Bengal near Guskara, Burdwan
Dariyapur
is just another village deep inside the rural heartlands of Burdwan. But this place
is unique in its own way and definitely worth a visit. This is a village of the
artisans who are keeping alive a tribal art which is estimated to be more than
4000 years old and has its roots found at the ancient civilization site of Mohenjo-Daro.
Dokra
art is believed to be practiced by a tribe by the same name who hailed from the
forested district of Bastar of present day Chattisgarh. Over the years the
artisans from Bastar spread across Indian and dokra art can now be found at
various places in the state of Andhra Pradesh, Odisha, Jharkhand & West
Bengal.
The
artisans at Dariyapur village is making Dokra artifacts through several
generations and it is not exactly known how this art form found it’s place at
this quaint little village in Burdwan as there is no direct link found. It may
be assumed that the artisans learnt the art several generations ago from
descendants of the ancient tribes of Chattisgarh, some of whom might have
migrated to this part of Bengal.
Most
of the artisans are ‘Karmakar’ by their title. The ‘Karmakar’ clan can be found
in many part of southern and western part of Bengal. The intricate terracotta
works found on various temples dotted across the rural Bengal are the handiwork
of the Karmakar clan.
This
is a village where you can experience how Dokra artifacts are produced as it
goes through an elaborate process. It is complicated, time consuming and lot of
hard work but these people produce some pretty remarkable stuff. There is an
amazing range of products available right from the figures of the Gods and
Goddesses, human and animal figures, various art objects and jewelry. Some of
the artisans here are recipients of president’s award in recognition of their
work. Despite the fine work I felt that the artisans are faring not too well
economically. At least not enough to attract the next generations. Like any
ancient folk and tribal art form this is also under threat and though they are
getting some patronage from the govt and few NGOs they need lot more
support.
I
went there when a three day art fair was on and the entire village was
literally transformed into an open air art gallery. In addition to that there
were arrangements for folk songs and music like Bhawaiya, Tusu, Fakiri etc in
the evening. But since I was on a day trip and bound with a tight schedule I
couldn’t experience that.
The
village keeps its door open for visitors round the year and one can go anytime
to experience the art. This can easily be covered in a day trip but should you
want to spend a night there, accommodation is also available. Arrangement is basic but there will be no
dearth of warmth and hospitality. Surely you will have a pleasant memory of
your stay deep in rural Bengal.
Driving
Direction:
The
drive will take three and half hours to four hours even at a leisurely pace.
Drive through NH-2 past Burdwan and then turn right onto the state highway that
is running past the famous 108 Shib Mandir. The entire stretch of this road is
beautiful and green is the predominant color here in various shades. You will
get an idea why this part of the country is known as the “Rice Bowl of Bengal. You will cross Talit level crossing and keep
driving straight till you reach the triangular traffic island at Guskara. From here you need to turn left and proceed
past Guskara Railway station. Once you cross the railway track you need to take
the left fork which will take you to Dariyapur. From Guskara railway station
the village is only about 5 kms and right on the main road. This road is in good shape all along and
shouldn’t be a bother. The long waiting time at Talit rail gate is the only irksome
factor but you might just be lucky and find the gate open.
For
Stay Arrangements contact the following:
Subhas
Mondal - 9735228086
Subho
Karmakar - 9153255055
Ashok
Karmakar - 9635673082
Do share this article to spread awareness about this ancient art of Bengal
Very nice...i am really interested to go to that place
ReplyDeleteIf you have any number of any artist who are creating dokra idols please share with me .I want to buy some product.
ReplyDeleteThe phone nos I shared for stay arrangements can also be contacted for details of the artists.
DeleteDokra is an ancient art about 4000 yrs old. This is one of the place where we find the craftsmen. Worth seeing this place,
ReplyDelete